বিবাহ বার্ষিকীতে মরণোত্তর দেহ দানের অঙ্গীকার।

0
379

বীরভূম, সেখ ওলি মহম্মদঃ- আমরা জন্মদিন বা বিবাহ বার্ষিকীতে ধুমধাম সহকারে আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে আনন্দ উপভোগ করে থাকি। কিন্তু বীরভূম জেলার দুবরাজপুরের উকিল দম্পতির এক অন্য ছবি দেখা গেল। যা সমাজে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। আজ দুবরাজপুর আদালতের বিশিষ্ট আইনজীবী স্বরুপ আচার্য ও তাঁর সহধর্মিনী তথা সেঁজুতির সম্পাদিকা সুমনা চক্রবর্তী তাঁদের ১৮ তম বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে মরণোত্তর দেহ দানের অঙ্গীকার করলেন। আজ তাঁদের বাড়িতে বীরভূম ভলেন্টারি ব্লাড ডোনার এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি প্রিয়নীল পাল এসে নির্দিষ্ট ফর্ম ফিলাপ করে নিয়ে যান রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। স্বরুপ আচার্য জানান, আমার স্ত্রীর ইচ্ছাতেই আমরা বিবাহ বার্ষিকীতে মরণোত্তর দেহ দানের অঙ্গীকার করলাম। আর আমাদের ইহলোক ছাড়ার পর যদি আমাদের শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কারোর প্রাণ বাঁচাতে কাজে লাগে তার জন্যই আমরা দেহ দানের অঙ্গীকার করলাম। পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী সুমনা চক্রবর্তীও একই কথা জানান। অন্যদিকে বীরভূম ভলেন্টারি ব্লাড ডোনার এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি প্রিয়নীল পাল জানান, দুবরাজপুরে এর আগে আমরা ক্যাম্প করেছি তখন ২০ জনের বেশী মানুষ মরণোত্তর দেহ দানের অঙ্গীকার পত্রে সই করেছেন। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে একটা বিশেষ অনুষ্ঠানে বীরভূম জেলায় প্রথম কেউ মরণোত্তর দেহ দানের অঙ্গীকার করলেন। সমাজে এটা একটা ভালো বার্তা যাবে মনে করি।