পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ১৪৮৬ ‘র ১৮ ই ফেব্রুয়ারি এই ফাল্গুনী পূর্ণিমা দোলযাত্রার দিনেই নদীয়ায় জগন্নাথ মিশ্র ও শচীমাতার সংসারে জন্মগ্রহন করেছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। পরবর্তী পর্যায়ে তিনি পরিণত হয়ে উঠেছিলেন লোকপ্রিয় বৈষ্ণব সন্ন্যাসী ও ধর্মীয় মহাপুরুষ। ষোড়শ শতাব্দীর সমাজ সংস্কারক ও সাম্য-মৈত্রী-ঐক্যের-মূর্ত প্রতীক সম্মানে আজ তিনি বিশ্ববন্দিত।
ষোড়শ শতাব্দীতে শ্রীচৈতন্যর জীবনী সাহিত্য বঙ্গীয় সন্তজীবনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিল ভাবা যায়। দুই বাংলা সহ বিশ্বের যেখানে যত কৃষ্ণভক্ত ও বৈষ্ণব সম্প্রদায় আছেন, এই দোলপূর্ণিমার সাথে গৌরপূর্ণিমা উদযাপন করেন। জাতিধর্ম নির্বিশেষে প্রকৃতির সাথে বহু মানুষ একে অপরকে নানা রঙে রাঙিয়ে বসন্ত উৎসব পালন করেন।কোলাঘাট নতুন বাজার জয়নিতাই গৌর সেবা আশ্রমে গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে চৈতন্যদেবের ৫৩৮তম জন্মতিথি, রাধাকৃষ্ণের দোলযাত্রা এবং এই আশ্রমের ৩৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন। এই উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা পাঠে অংশ নেন দূরদুরান্তের ভাগবত বিশারদগন। শুরু হয়েছে ষোলপ্রহর মহামন্ত্র নামযজ্ঞ ও লীলাকীর্তনের সাথে শ্রীচৌষট্টি মহান্তের মালসা আরাধোনার আয়োজন।
বিশেষ পূজার্চনার সাথে ধর্মকথা ও ভক্তিগীতি শুনতে সমাগম ঘটছে বহু ধর্মপ্রান ভক্তজনের। এই কদিন প্রতি প্রভাতে কোলাঘাটবাসীর ঘুম ভাঙছে প্রভাতি সংগীত সহ প্রভাতি নগর পরিক্রমায়। আয়োজক জয়নিতাই গৌর সেবাশ্রমের সম্পাদক কল্যাণ সামন্ত জানান,- ” গৌরপূর্ণিমা ও দোলযাত্রা উদযাপনে বরাবরের মত এবারেও সর্বস্তরের মানুষের জন্য অন্ন প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে যাকিছু আয়োজন তা কিন্তু কোভিড বিধি মেনেই সংগঠিত হচ্ছে বা হবে “।
Leave a Reply