তৃণ্ময় বেরা, ঝাড়গ্রাম:- সন্ধ্যা হলেই নেমে আসত অন্ধকার। রাস্তায় ছিল না পথ বাতি। যারফলে অন্ধকারে ডুবত রাস্তাঘাট। কয়েকদিন আগে এমন ছবিটা ছিল ঝাড়গ্রাম জেলার অন্যতম ব্লক গোপীবল্লভপুরে। সম্প্রতি গোপীবল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে গোপীবল্লভপুর হাতিবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় পথবাতি বসেছে। কিন্তু গোপীবল্লভপুরে সুবর্ণরেখা নদীর উপর সিদো-কানহো-বিরসা-মুন্ডা সেতুর উপর নেই কোনও পথবাতি। রাত হলেই সেতু অন্ধকার হয়ে যায়। আর সেই অন্ধকারের সুযোগকে কাজে লাগান বিভিন্ন মানুষজন। সেতুর উপর রাতের বেলায় বসে মদের আসর। এমনকি ঘটে নানা অসামাজিক কাজ। এছাড়াও অন্ধকারের জেরে মাঝে মধ্যে ঘটেছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি অন্ধকার হয়ে রয়েছে। প্রশাসনকে বার বার জানিয়ে কোনও সুরাহা হয়নি। অন্ধকার সেতুর উপর মানুষজন যাতায়ত করতে সমস্যায় পড়েন। গোপীবল্লভপুরের এক কাপড় ব্যবসায়ী প্রীতম পৈড়া বলেন, ‘‘গোপীবল্লভপুর বাজার এলাকায় পথবাতির সমস্যা মিটলেও সেতুটি অন্ধকার রয়েছে। সেতুতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’’ প্রতীম জুড়ছেন, সেতুতে সেতুতে আলোর খুবই প্রয়োজন। এটা সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের চাহিদা রয়েছে।’’ তবে বাসিন্দাদের অভিযোগ, নয়াগ্রামের জঙ্গলকন্যা সেতু তৈরির পর আলো লাগানো হয়েছে। কিন্তু গোপীবল্লভপুর সেতুতে কেন আলো লাগানো হবে না? জানা গিয়েছে, রাজ্য ক্ষমতার পালা বদলের পর নয়াগ্রামে জঙ্গলকন্যা সেতু তৈরি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু জঙ্গলকন্যা সেতু তৈরির পর আলো লাগানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, জঙ্গলকন্যা সেতুতে আলো লাগিয়েছিল পূর্ত দফতর। কিন্তু নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। অনেক জায়গায় অনেক সেতুতে স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে সেতুতে পথবাতি লাগানো হয়েছে।’’ তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, গত এক বছরের মধ্যে গোপীবল্লভপুরের সেতুতে বেড়েছে আসামাজিক কাজকর্ম। রাত হলেই সেতুতে বসে মদের আসর। চলে মদ্যাপ অবস্থায় উৎপাত। গোপীবল্লভপুর থানার পুলিশ সেতু থেকে মদ খাওয়ার অভিযোগ ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছিল। এমনকি রাতের অন্ধকারে ঘটেছে দুর্ঘটনা। গোপবীল্লভপুরের বিডিও দেবজ্যোতি পাত্র বলেন, ‘‘সেতুটি পূর্ত দফতর তৈরি করেছিল। পূর্ত দফতর বিষয়টি বলতে পারবে। স্থানীয় প্রশাসনের কোনও ব্যাপার নেই।’’ পূর্ত দফতরের ঝাড়গ্রাম ডিভিশনের অ্যাসিন্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার স্বরূপ মণ্ডল বলেন, ‘‘আবেদন পেলে খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’