নন্দীগ্রামে নীল পুজো উপলক্ষে উপস্থিত হয়ে তৃণমূলকে নিশানা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

0
324

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  সোমবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নন্দীগ্রামে তার নির্বাচনী ক্ষেত্র পবিত্র নীল পূজা উপলক্ষে আড়াইশো বছরের পুরনো জানকীনাথ মন্দির উপস্থিত হন,এইদিন সেখানে ১১০ জন পণ্ডিতকে উত্তরীয় গীতা প্রভৃতি দান করেন সেই সঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে এক হাতে নেন, তিনি বলেন পশ্চিমবাংলা আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই ,মুখ্যমন্ত্রী সব ঘটনাকে ছোট ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করেন‌। সেই সঙ্গে তিনি আরো বলেন মুখ্যমন্ত্রী এমন কিছু কথা বলে যাপ্রশাসন ও মিডিয়াকে চাপে রাখা যায় । তিনি যদি রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে আর সমালোচনা সহ্য না করতে পারেন,তা হলে তো দুর্বৃত্তরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। তিনি বলেন থানাগুলোকে সর্বত্রই পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলেছে তৃণমূলের লোকেরা। এই সিস্টেমের পরিবর্তন করা দরকার আছে তিনি আরো বলেন থানা লোকেরা সর্বত্র ভয়ে থাকেন।খুন ধর্ষণকারী তৃণমূলের যদি থানার অফিসাররা সন্তুষ্ট করতে না পারেন তাহলে তাদের পানিশমেন্ট পোস্টিং হতে পারে এই ভয়ে অফিসাররা সর্বত্র গুটিয়ে থাকেন ।তারে উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন গত ২ রা মে তাহেরপুরের ওসিকে সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গ। শুভেন্দু বাবু আরো বলেন প্রশাসনের উপর তৃণমূলের নেতাদের এই মানসিক চাপ তারই ফলে প্রধানের ছেলে নাবালিকা কে মদ খাইয়ে এই ধরনের কাজ করার সাহস পায়। সর্বত্রই শাসক দলের একটি যোগ রয়েছে প্রশাসনের সঙ্গে। তিনি আরো বলেন কয়েক বছরের মধ্যে বেশ কয়েকজন তৃণমূলের নেতা গরু চোর বালি চোর কয়লা চোর বিশাল বিশাল বড় বড় বাড়ির মালিক হয়ে উঠেছেন। আর গ্রামীণ এলাকার তৃণমূলের বড় রোজকারের জায়গা হচ্ছে ১০০ দিনের কাজ। হাতে গুনে আমি নন্দীগ্রাম এলাকায় বলে দিতে পারি প্রত্যেক প্রধান ১০০ দিনে কাজ থেকে কোটি কোটি টাকা তারা লুট করেছেন। এই ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন দরকার ও সেইসঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি করেন অনুব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গে তিনি বলেন উড ভার্নে একটি চোর ডাকাত কে রাখা হয়েছে। যে জন্য তৈরি করা হয়েছিল তার অপব্যবহার করা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।সেখানে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের রাখার কথা তেমনি বয়স্ক মানুষদের রাখার কথা তার বিনিময়ে এক বড় ডাকাত কে পুষে রাখা হয়েছে বলে শুভেন্দু বাবু ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন।