সুন্দরবনের জঙ্গলে জঙ্গলদস্যুদের হাতে আবারও মৌলেরা আক্রান্ত!উঠলো অভিযোগ।

0
305

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – আবার জঙ্গলদস্যুদের হাতে আক্রান্তের ঘটনা ঘটলো। এবার কুলতলির ৭ জন মধু সংগ্রহকারী(মৌলে) ? এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় বেশ আতঙ্কিত ওই মৌলেরা।গত ১১ এপ্রিল সুন্দরবন জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে জঙ্গলদস্যুদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রত্যন্ত সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের বালি ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ১১ জনের একটি মধু সংগ্রহকারী দল। তাঁদের বেধড়ক মারধর করে ছিল জঙ্গলদস্যুরা। কেড়ে নিয়েছিল সংগ্রহ করা মধু ও নৌকার অন্যান্য সামগ্রী। সেই ঘটনার আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই আবারও সুন্দরবনের জঙ্গলে মধু সংগ্রহকারীদের ওপর হামলার ঘটনা সামনে এলো। কুলতলির দেউলবাড়ির বাসিন্দা ৭ জনের এক মৌলে দলের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁদের মারধর করা না হলেও জঙ্গলে আটকে রেখে সর্বস্ব লুট করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা বন দপ্তরের কাছে অভিযোগ করেন ওই মৌলেরা। অবশ্য তাঁরা শনিবার গ্রামে ফিরে এসেছেন। গত ৮ এপ্রিল থেকে সুন্দরবনের জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়েছে সরকারি ভাবে। বনদপ্তরের বৈধ অনুমতি নিয়ে ৪৩ টি দল এবার সুন্দরবনের সজনেখালি থেকে গভীর জঙ্গলে রওনা দিয়েছে। গত ৬ এপ্রিল কুলতলির দেউলবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের শ্যামনগর গ্রামের নরেন সর্দার সহ ৬ জন মৌলে মধু সংগ্রহের কাজে সুন্দরবনে গিয়েছিলেন। সজনেখালি বিট অফিস থেকে বৈধ অনুমতি নিয়ে ৮ তারিখ সুন্দরবনের জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করতে জঙ্গলে প্রবেশ করেন। বাঘের ভয়কে উপেক্ষা করেই তাঁরা জঙ্গলে মধু সংগ্রহের কাজ করছিলেন। কিন্তু কে জানত বাঘের থেকেও মারাত্মক হয়ে ভয়ানক হয়ে উঠবে জঙ্গল দস্যুরা!মৌলে নরেন সরদার সহ তাঁর সঙ্গীরা অভিযোগ করেন, ৪ দিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহ করার পর গত মঙ্গলবার গভীর রাতে আচমকাই দুটি নৌকা করে প্রায় ২০ জনের একটি জঙ্ল দস্যুর দল তাঁদের নৌকাকে ঘিরে ধরে। তখন তাঁরা ঘুমাচ্ছিলেন। সেই অবস্থায় তাঁদের আক্রমন করে। ৭ জন মৌলেকে বেঁধে নৌকা সহ জঙ্গলের গভীর খাঁড়িতে নিয়ে যায়।এরপর দেড় কুন্টালের মতো সংগ্রহ করা মধু ও নৌকায় মজুত করা ১৫ দিনের খাদ্য লুঠ করে নেয় জঙ্গল দস্যুরা। শুধু তাই নয়, নগদ সাড়ে ৭ হাজার টাকা এবং দুটি মোবাইল ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সারাদিন তাঁদের সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলের মধ্যে আটকে রেখে বুধবার রাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সুধন্যখালি এবং সজনেখালি বিট অফিসে ঘটনার কথা জানিয়েছেন। বন দপ্তরের উদ্যোগে অন্য বোটের সাহায্যে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে।