ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান শিবপুর।

    0
    2206

    ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান, শিবপুর ( Indian Institute of Engineering Science and Technology, Shibpur) ভারতের প্রাচীনতম ও অগ্রণী ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে অন্যতম। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়া শহরের শিবপুরে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে ও বহির্ভারতে শিক্ষা ও গবেষণাক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফলিত বিজ্ঞান শাখার একটি উৎকৃষ্ট প্রতিষ্ঠানরূপে স্বীকৃত। ২০০৫ সালে ইন্ডিয়া টুডে পত্রিকার রেটিং অনুযায়ী এটি দেশের সেরা দশটি (টপ টেন) ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি বিবেচিত হয়। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে এটি বর্তমানে ভারতের একটি
    অভিজাত শিক্ষাকেন্দ্র।

    শিবপুরের ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠানের আদিনাম বিশপস কলেজ। মাত্র দশ জন ছাত্র ও সামান্য কয়েকজন শিক্ষাকর্মী নিয়ে এই কলেজটি ১৮৫৬ সালের ২৪ নভেম্বর ক্যালকাটা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নামে অভিহিত হয়। ১৮৬৫ থেকে ১৮৭৯ সাল পর্যন্ত এটি প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট হিসেবে কাজ করে। ১৮৮০ সালে কলেজটি হাওড়ার বিশপস কলেজের বিশাল ক্যাম্পাসে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত হয়। ১৯২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পুনরায় নাম পরিবর্তন করে এই কলেজের নাম বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (বি. ই. কলেজ, শিবপুর) রাখা হয়। শিবপুর শব্দটি অবশ্য ১৯২১ সালের ২৪ মার্চ মুছে ফেলা হয়।
    ১৮৫৭ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত এটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কলেজ ছিল। জাতির প্রতি এই প্রতিষ্ঠানের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯২ সালে এই কলেজটিকে ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়া হয়। ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড. শঙ্করদয়াল শর্মা ১৯৯৩ সালের ১৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে এই ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়টি উদ্বোধন করেন। ২০০৪ সালের ১ অক্টোবর ডিমড বিশ্ববিদ্যালয় বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এর বর্তমানে নামে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পায়। ২০০৫ সালের ১৩ জুলাই ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড. এ পি জে আব্দুল কালাম আনুষ্ঠানিকভাবে বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি, শিবপুর (বেসু)-র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

    আইআইইএসটি নামকরণ

    প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায় ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে দ্বিশত বৎসর অতিক্রম করা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ‘ভারতীয় প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান’ নতুন নামকরণ করে জাতির প্রতি উৎসর্গ করেন।

    ।। সংগৃহীত : ইন্টারনেট।।