বর্হিঃবিভাগে রোগী দেখছেন হাসপাতালের সুপার,জানতে পেরে তাজ্জব হয়ে গেলেন রোগীরা।

0
307

সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং : – সরকারী হাসপাতালের বর্হিঃবিভাগে রোগী দেখছেন খোদ হাসপাতাল সুপার। জানতে পেরে তাজ্জব হয়ে গেলেন রোগী সহ তাদের পরিজনেরা।ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে চিকিৎসা সংক্রান্ত গাফিলতির অভিযোগ তুলে সোচ্চার হতে দেখা গেছে রোগী সহ তাদের পরিবার পরিজনেদের কে।এমন ঘটনা নতুন কিছু নয়।এবার দেখা গেলো এক বিপরীত মেরুর ভিন্ন ঘটনা।
হাসপাতালের বর্হিঃবিভাগে রোগী দেখছেন খোদ হাসপাতাল সুপার ডাঃ অপূর্ব লাল সরকার। তিনি বর্তমানে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার।
এদিন এই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন নমিতা,অনিতা,মিঠু,আকবর,রজত সরদার সহ অন্যান্য রোগীরা।তারা হাসপাতালের বর্হিঃবিভাগে চিকিৎসা করার পর জানতে পারেন,যিনি বর্হিবিভাগে রোগী দেখছেন,তিনি কোন সাধারণ চিকিৎসক নন। খোদ হাসপাতালেরই সুপার তিনি।খোদ সুপারের কাছে চিকিৎসা পরিসেবা পেয়ে অত্যন্ত খুশি তারা।তাদের দাবী যেখানে একটা মহকুমা হাসপাতালের দায়িত্ব তাঁর ওপর রয়েছে। সেই সমস্ত দায়িত্ব সামলে তিনি আবার হাসপাতালের বর্হিঃবিভাগে রোগীও দেখছেন।এমনইতো সমস্ত চিকিৎসকরাই দ্বিতীয় ‘ভগবান’।ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সুপারের মানবিক কর্তব্য দেখে আমরা অভিভূত। দ্বিতীয় ভগবান হলেন ডাক্তার,তাঁর উপরে যদি কেউ থাকেন তাহলে তিনিই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সুপার রয়েছেন।
উল্লেখ্য প্রত্যন্ত সুন্দরবনের গোসাবা,বাসন্তী,জীবনতলা,ক্যানিং,বারুইপুর,জয়নগর,কুলতলি সহ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হিঙ্গলগঞ্জ,সন্দেশখালি এলাকার হাজার হাজার সাধারণ মানুষজন প্রতিদিনই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে আসেন চিকিৎসা করাতে।এই মহকুমা হাসপাতালে বর্হিঃবিভাগ ছাড়া ও জরুরী বিভাগে প্রতিনিয়ত রোগীদের ভীড় রয়েছে।
হাসপাতালের সমস্ত দায়িত্বপূর্ণ কাজকর্ম সেরে ভীড় সামলাতে টেথিস্কোপ হাতে বেরিয়ে পড়লেন। হাজীর হলেন হাসপাতালেরই বর্হিঃবিভাগে।একের পর এক রোগী দেখছেন।
যদিও একজন হাসপাতাল সুপার সাধারণত হাসপাতালের রোগীকে দেখছেন এমন নজীর খুবই নগণ্য।তুলনামূলক ভাবে যা ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের ঘটনা বিরল দৃষ্টান্ত।
হাসপাতালের আউটডোরে রোগী দেখা প্রসঙ্গে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ অপূর্ব লাল সরকার কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি। তবে তিনি জানিয়েছেন তিনি তাঁর কর্তব্য পালন করার চেষ্টা করেছেন মাত্র।’
অন্যদিকে চিকিৎসা করাতে আসা পরিমল সরদার,অজয় বায়েন,অনিল সরদার’রা জানিয়েছেন ‘হাসপাতালের সুপার ডাঃ অপূর্বলাল সরকার প্রায়ই বর্হিঃবিভাগে রোগী দেখেন। সত্যিই একজন সুপার বিশাল বড় হাসপাতালে দায়িত্বে থেকেও তিনি তাঁর কর্তব্যে অবিচল।ওনাকে আমাদের প্রণাম ও অজস্র ভালোবাসা জানাই।