মদ খেয়ে মারা গেলে ৫ লাখ, আর ঝড়ে মরলে ২ লাখ, ক্ষতিপূরণ নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ মহম্মদ সেলিমের।

0
304

মনিরুল হক, কোচবিহার: চলতি সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় দেখা দিয়েছিলো কালবৈশাখীর তান্ডব। বৈশাখের শুরুতেই কালবৈশাখীর তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে জলপাইগুড়ি সহ কোচবিহারের একাধিক এলাকা। গত রবিবার রাতে মাত্র ৩০ মিনিটের ঝড়ে কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের ঘুঘুমারি, শুকটাবাড়ি, মোয়ামারী সহ এলাকা তীব্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি কালবৈশাখী ঝড়ে এই এলাকায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনেরও। এদিন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে এসে মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানায় সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহাম্মদ সেলিম।
ঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে এসেছিলেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম, জেলা সম্পাদক অনন্ত রায়, সিপিআইএম নেতা জীবেশ সরকার, মহানন্দ সাহা, তমসের আলী সহ স্থানীয় বাম নেতা-কর্মীরা।

গত রবিবার কয়েক মিনিটের কালবৈশাখীর দাপটে মৃত্যু হয় দেবদাস পাল ও জাহাঙ্গীর হোসেন নামে দুজনের। বিদ্যুতের খুঁটি সহ বহু গাছ উপড়ে পড়ে, বহু ঘরবাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই ঘটনায় অসহায় হয়ে রাস্তায় আশ্রয় নেন গ্রামবাসীরা। তাদের পাশে এসে দাঁড়ান সিপিআইএমের নেতারা।

এদিন সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে এসে বাম রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া মৃত জাহাঙ্গীরের বাড়িতে আসেন। জাহাঙ্গীরের মত মেধাবী ছাত্রের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন তিনি, শুধু তাই নয়, মৃত জাহাঙ্গীরের ছোট ভাইবোনদের পড়াশোনার ভার নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন।

এদিন ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে তিনি রাজ্য সরকারের তীব্র নিন্দা করে বলেন, মদ খেয়ে মরলে ৫ লক্ষ, আর ঝড়ে মৃত্যুতে দু’লক্ষ, এটা নতুন নিয়ম জানলাম।

তিনি আরও বলেন, সরকারের উচিত, যারা ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের সাহায্য করা, যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন, তাদের আবাস যোজনার আওতায় নথিভুক্ত করে নতুন ঘর করে দেওয়া। এটাই নিয়ম। অন্যথায় প্রয়োজনে তারা বিডিও, ডি এমের কাছেও দাবি জানাবেন।