ঝড় বিধ্বস্ত এলাকার মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক।

0
296

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ ঝড়ে বিধ্বস্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন সিতাইের তৃণমূল বিধায়ক। এদিন সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া কোচবিহার এক নং ব্লকের ঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান। এদিন তাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে তাদের হাতে নতুন জামাকাপড় তুলে দিলেন বিধায়ক। এদিন সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের কর্মদক্ষ নুর আলম হোসেন, এবং সিতাই এলাকার অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ।
এদিন এবিষয়ে জগদীশবাবু জানান, কোচবিহার রাজার রাজ্য, এখানে যেমন ঈদ গুরুত্বপূর্ণ তেমনি গুরুত্বপূর্ণ দুর্গাপূজা। আমরা কোচবিহার বাসী জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সমস্ত পার্বনে অংশগ্রহণ করতে পিছপা হইনা। মানবতাই আমাদের অন্যতম ধর্ম। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এলাকার মানুষরা যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্থ। সাধারণ মানুষ থেকে নেতৃত্ব সবাই তাদের যথাসম্ভব সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আজ আমরা ৫০০ পরিবারের হাতে নতুন জামা কাপড় তুলে দিয়ে তাদেরকে কিছুটা আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করলাম। শাড়ি লুঙ্গি এবং বাচ্চাদের জামা কাপড় দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ ধর্ম দেখে আসেনা তাই উৎসব ধর্ম দেখে হবে না। সামনে ঈদ আমরা সকলেই ওদের পাশে থাকবো।
প্রসঙ্গত, ১৭ ই এপ্রিল সন্ধ্যায় বিধ্বংসী ঝড়ে ধুলিস্যাৎ হয়ে যায় কোচবিহার ১ নং ব্লকের ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কয়েক হাজার বাড়ি। এরপর থেকে চলছে লাগাতার প্রাকৃতিক দুর্যোগ। দফায় দফায় বৃষ্টি, ঝড়। এ যেন একরকম গোদের ওপর বিষফোঁড়া। সামনেই ঈদ। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত। বিশেষ করে শুঁটকা বাড়ি, মোয়ামারী, চান্দামারী, চিলকির হাট এবং ঘুঘুমারি এলাকায় জুড়ে অনেক মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ বসবাস করেন। আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই মঙ্গলবার খুশির ঈদ। এই উৎসবের মরসুমে এই মানুষগুলির মাথা গোঁজার ঠাঁই যেরকম নেই সেরকমই সামর্থ্য নেই নতুন জামা কাপড় কেনার। এসব কথা মাথায় রেখে এদিন ওই সব এলাকায় দুঃস্থ পরিবার গুলির হাতে কাপড় তুলে দিলেন বিধায়ক।