প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশাঙ্কা,নদীবাঁধ খতিয়ে দেখলেন মহকুমা শাসক।

0
589

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়।ইতিমধ্যে তারই ভ্রূকুটি দেখা দিয়েছে সমগ্র সুন্দরবন এলাকা জুড়ে। কয়েক বছর ধরেই সুন্দরবনের ওপর দিয়ে দফায় দফায় আয়লা,ফণি,বুলবুল,আম্ফন,ইয়াসের মতো ঘূর্ণিঝড় বয়ে গিয়েছিল।তছনছ হয়ে গিয়েছিল সমগ্র সুন্দরবন জুড়ে।বিগত দিনে প্রাকৃতিক ঝড়ের ফলে সুন্দরবনের বহু জায়গাতেই দুর্বল নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। সামনেই দুর্যোগের পূর্বাভাস। আগামী ৯ই মে ওড়িশা উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব গোটা সুন্দরবন এলাকাতেও পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা। সব মিলিয়ে সুন্দরবনের মানুষ যথেষ্ট আতঙ্কিত। আর সেই কারণেই এবার আগে থেকেই দুর্যোগ মোকাবিলার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ক্যানিংয়ের মহকুমাশাসক আজহার জিয়ার নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই সমস্ত লাইন ডিপার্টমেন্টকে নিয়ে ম্যারাথন বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি ক্যানি ১ ও ২,বাসন্তী,গোসাবা ব্লক প্রশাসনের তরফেও সেচ দফতর, সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের আধিকারিকদের সাথে বারে বারে বৈঠক করা হয়েছে। গোসাবা, ক্যানিং, বাসন্তী ব্লকের দুর্বল নদীবাঁধগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেচ দফতর দ্রুত সেই বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেছে।শুক্রবার বিকালে ক্যানিংয়ের মহকুমা শাসক ও ক্যানিং ১ বিডিও শুভঙ্কর দাসইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চ্যাটার্জীঘাট সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় দুর্বল নদীবাঁধ ঘুরে দেখেন। যেখানে যেখানে নদীবাঁধের সমস্যা রয়েছে সেগুলি সম্পর্কে সেচ দফতরের আধিকারিকদের জানান। সব মিলিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য তৎপরতা অবলম্বন করেছেন ক্যানিং মহকুমা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।