নিজস্ব সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ বাঁকুড়া জেলার ওন্দা ব্লকের রতনপুর নিবাসী সোমনাথ পরামানিক পেশায় সি আর পি এফ কর্মীর সাথে গত চার বছর আগে বিবাহ হয়েছিল হিড়বাঁধ নিবাসী সোনালি পরামানিকের(২৫)। গত এক বছর আগে জন্ম হয় এক কন্যাসন্তানের যার বয়স ১১ মাস। মেয়ের পরিবার সূত্রে যেটা অভিযোগ যে বিয়ের এক মাস পর থেকে মেয়ের ওপর অমানবিক অত্যাচার শুরু করে মেয়ের শশুর,শাশুড়ি এবং ননদ নন্দাই মিলে। সোনাই দেবীর স্বামী সোমনাথ বাবু কর্মসূত্রে ঝাড়খন্ডের রাঁচিতে থাকতেন, তার অবর্তমানেও নাকি মেয়ের ওপর চলত অমানবিক অত্যাচার এমনটাই অভিযোগ মেয়ের পরিবারের। সোনাই দেবীর দাদা জানান কন্যা সন্তান জন্ম দেবার পর থেকে অত্যাচারের পরিমাণ অনেকটাই বাড়তে থাকে। আজ ভোর পাঁচটা নাগাদ ছেলের পরিবারের তরফ থেকে মেয়ের বাড়িতে খবর দেওয়া হয় যে তাদের মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তড়িঘড়ি খবর পেয়ে ছুটে ছুটে আসেন মেয়ের পরিবারের লোকজন,তারা দেহ দেখে অভিযোগ করেন এটা নিছকই আত্মহত্যা নয় মেয়েকে পরিকল্পনা করে খুন করে ফেলেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এই ঘটনার কথা স্থানীয় পুলিশকে জানানো হলে, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। এটা নিছকই আত্মহত্যা নাকি খুন পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।