পূর্ণিমার ভরা কোটালে নদী বাঁধে বড়সড় ধস,প্লাবিত হতে পারে গোটা গ্রাম,আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা।

0
976

সুভাষ চন্দ্র দাশ,সুন্দরবন – পূর্ণিমার ভরা কোটালে মঙ্গলবার সকালে নদীবাঁধ বড়সড় ধস নামলো দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকায়।এদিন সকালে আচমকা সুন্দরবনের নদীগুলোতে জলস্তর অত্যধিক হারে বেড়ে যায়।জলস্তর বেড়ে যাওয়া গোসাবা ব্লকের সাতজেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দয়াপুর এলাকায় প্রবাহিত গোমর নদীবাঁধে বড়সড় ধস নামে।প্রায় ১৮০ ফুট নদীবাঁধে ধস নেমে নদী গর্ভে তলিয়ে যায়।আচমকা এমন ঘটনা নজরে পড়তেই এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁরা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কে ঘটনার কথা জানায়।অন্যদিকে গোমর নদীতে যে ভাবে জলস্তর বেড়ে চলেছে তাতে করে যেকোন সময় নদীবাঁধ ভেঙে কিংবা উপচে জল ঢুকে পড়তে পারে গ্রাম মধ্যে।সেক্ষেত্রে প্লাবিত হতে পারে গ্রামের পর গ্রাম। নদীবাঁধ ভেঙে গ্রামের মধ্যে লবণাক্ত জল ঢুকে পড়লে ক্ষতি হবে চাষের জমি,ফসল। এমনকি বাড়িঘর ভেঙে তলিয়ে যেতে পারে নদীগর্ভে।আশাঙ্কার মধ্যে গ্রামবাসীরা প্রাথমিক ভাবে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেদিয়েছেন। যাতে করে নদীবাঁধ উপচে জল গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করতে না পারে।অন্যদিকে ঘটনার পর থেকেই ব্লক প্রশাসনের তরফে তড়িঘড়ি নদীবাঁধ মেরামতির জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছেন সেচদফতরের কর্মীরা।
উল্লেখ্য ২০০৯ সালে ২৫ মে আয়লার দাপটে সুন্দরবনের প্রায় ৩৫০০ কিলোমিটার নদীবাঁধের মধ্যে ৭৭৮ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই নদীবাঁধের বেশিরভাগই প্রাথমিক ভাবে মেরামতি হলেও কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি এখনো পর্যন্ত। তৎকালীন রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছ থেকে ৫০৩২ কোটি টাকা নদীবাঁধ তৈরির জন্য নিয়ে এলেও তার মধ্যে মাত্র এক হাজার কোটি টাকার মতো খরচ করে সুন্দরবনের বেশ কিছু এলাকায় কয়েক কিলোমিটার নদীবাঁধ তৈরি করতে সক্ষম হলেও বেশীরভাগ এলাকায় এখনো সেই আয়লার নদীবাঁধ নির্মাণ হয়নি।ফেরত চলে যায় টাকা। ফলে পূর্ণিমা বা অমাবস্যার ভরা কোটালে এখনো সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় নদীবাঁধ ভাঙছে।মঙ্গলবার ভরা কোটালের জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের গোমর নদীবাঁধে বড়সড় ধস নামে।

এ বিষয়ে গোসাবার বিধায়ক সুব্রত মন্ডল বলেন, “ পূর্ণিমার কোটালের জলের চাপে গোসাবা ব্লকের সাতজেলিয়ার দয়াপুর এলাকার গোমর নদীবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে তড়িঘড়ি বাঁধ মেরামতির ব্যবস্থা করা হয়েছে।