সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – বিগত ২০০৯ সাল থেকে প্রতিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে একের পর এক নদীবাঁধ ভাঙছে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে।এমন কি প্রবল জলোচ্ছ্বাসে নদীবাঁধ ছাপিয়ে গ্রামের পর গ্রাম লবণাক্ত জলে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।বারে বারে এমন ঘটনায় সুন্দরবনে মানুষের বেঁচে থাকাটাই বড় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।এমত অবস্থায় কংক্রীটের নদীবাঁধ তৈরীর দাবীতে আলোলনের পথে পা বাড়ালো সুন্দরবন নদীবাঁধ ও জীবন-জীবিকা রক্ষা কমিটি।মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাসন্তী,গোসাবার বিভিন্ন এলাকায় মিছিল সহকারে সামিল হয়।আন্দোলনকারীদের দাবি বিগত ২০০৯ এ আয়লা পরবর্তী সময়ে নদীবাঁধ কংক্রীটের হয়নি।আবার পরবর্তী ‘আম্ফানের ২ বছর অতিক্রান্ত হলেও, নদীবাঁধ ভেঙে বন্যা এলেও ,সাধারণ মানুষ দুয়ারে সরকারকে দেখতে পায়নি। অতি সম্প্রতি এই চলতি মে মাসে ভরা কোটালে বহু জায়গায় নদী বাঁধ ভেঙেছে। আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করে নিতে হবে।আর সেই কারণে সুন্দরবন এর বিভিন্ন ব্লকে বিশেষ করে গোসাবা,বাসন্তীর নদীবাঁধ এর উপর বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
অন্যদিকে সুন্দরবন নদীবাঁধ ও জীবন-জীবিকা রক্ষা কমিটির গোসাবা ব্লকের অন্যতম সদস্য চন্দন মাইতি বলেন ‘সুন্দরবনের পঞ্চালশ লক্ষ মানুষের কথা ভেবে রাজ্য সরকার কে অতি শীঘ্র সুন্দরবনের সমস্ত নদীবাঁধ কংক্রীটের তৈরী করতে হবে। তা না হলে আগামী দিনে সুন্দরবন বাঁচাতে আমরা রাজ্য তথা দেশ জুড়ে আন্দোলনে সামিল হবো।যেনতেন প্রকারে সুন্দরবন কে রক্ষা করবো। এটাই আমাদের অঙ্গীকার।