গাছ কাটতে বাধা,স্বামী-স্ত্রী কে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে।

0
235

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং –গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় স্বামী-স্ত্রী কে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠলো প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে।আর এমন ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে মলিনা রায় ও তাঁর স্বামী মনোজ কুমার রায়। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে ঘুঁটিয়ারী শরীফের পথের শেষ গ্রামে। ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঘুঁটিয়ারী শরীফ পুলিশ ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দায়ের করছেন আক্রান্ত দম্পতির পরিবারের লোকজন। তদন্ত শুরু করেছে ঘুঁটিয়ারী শরীফ ফাঁড়ির পুলিশ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে সম্পত্তি নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে প্রতিবেশী সুমন্ত সমাদ্দারের পরিবারের সাথে রায় পরিবারের মধ্যে বিবাদ চলছিল।এর আগেও কয়েকবার বিবাদে জড়িয়ে পড়ে রায় ও সমাদ্দার পরিবার।সেক্ষেত্রে রায় পরিবারের সদস্যরা পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।
অন্যান্য দিনের মতো সোমবার সকালে রায় দম্পতির দুই ছেলে কাজের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন মলিনা রায় ও তাঁর স্বামী মনোজ কুমার রায়।অভিযোগ সেই সুযোগে রায় দম্পতির সম্পত্তির ওপর একটি খেঁজুর গাছ কাটার জন্য তোড়জোড় শুরু করে প্রতিবেশী সুমন্ত সমাদ্দার ও তার তিন ছেলে।নিজেদের সম্পত্তির ওপর খেঁজুর গাছ কাটতে বাধা দিতে এগিয়ে যায় মনোজ বাবু। অভিযোগ বাধা দিতেই সুমন্ত সমাদ্দার ও তার তিন ছেলে লাঠি,ধারালো দা ও ইট নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মাটিতে ফেলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে।প্রতিবেশীদের মারধোরের হাত থেকে স্বামী কে বাঁচানোর জন্য দৌড়ে যায় স্ত্রী মলিনা দেবী। অভিযোগ তাঁকেও বেধড়ক মারধর করে তার বাম চোখে মারাত্মক ভাবে আঘাত করা হয়।এরপর ঘটনাস্থলে রায় দম্পতি অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকেন।এমন ঘটনা দেখে তাদের কে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন কয়েকজন প্রতিবেশী। তাদের কে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।প্রায় ঘন্টাখানেক অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন রায় দম্পতি। এমন খবর পৌঁছায় তাঁদের ছোট ছেলে নন্দ রায়ের কাছে। তিনি তড়িঘড়ি গিয়ে বাবা-মা কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে আশাঙ্কাজনক অবস্থায় ওই দম্পতি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার বিষয়ে ঘুঁটিয়ারীশরীফ পুলিশ ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও অভিযুক্তদের কে আটক কিংবা গ্রেফতার করতে পারেনি।