প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠি কোন্দল। তৃণমূল কর্মীর জায়গা দখল করে জোরপূর্বক তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় করার অভিযোগ,উত্তেজনা চন্দ্রকোনার হরিরামপুরে।

0
369

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠি কোন্দল। তৃণমূল কর্মীর জায়গা দখল করে জোরপূর্বক তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের জাড়া দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিরামপুর গ্রামে। হরিনারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রিয়ব্রত রায়ের অভিযোগ তিনি এলাকার দীর্ঘদিনের সক্রিয় তৃণমূলের কর্মী। কিন্তু হরিনারায়নপুর গ্রামের প্রিয়ব্রতের একটি চাষযোগ্য জমির কিছু অংশ দখল করে গ্রামেরই বেশকিছু তৃণমূলের কর্মী জোরপূর্বক তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় নির্মানের কাজ শুরু করেছে।
জায়গা দখল করে জোরপূর্বক দলীয় কার্যালয়ে বন্ধের জন্য ইতিমধ্যে দলের একাধিক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি জানালেও, কাজের কাজ কিছুই হয়নি, জোরপূর্বক দলীয় কার্যলয় নির্মান করছে তৃণমূল কর্মীরা ।
প্রিয়ব্রত বলেন, গ্রামেরই কিছু তৃণমূল কর্মী অরুণ মাফুই,পরেশ মল্লিক, রহিম পাত্র, ঝন্টু ভাণ্ডারী নামে চার তৃনমূল কর্মী এই দলীয় কার্যালয় করছে। ওই চার জন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় একাধিক দুর্নীতির সাথে জড়িত এই প্রতিবাদ করার জন্যই তারা আমার রায়ত জায়গা জোরপূর্বক দখল করে দলীয় কার্যালয় নির্মান করছে। যদিও এই বিষয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীদের সাথে আমরা যোগাযোগ করলেও ক্যামেরার সামনে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কিছু বলেনি।
আমরা অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী পরেশ মল্লিকের সাথে যোগাযোগ করে তিনি বলেন,দলের অনুমতি নিয়েই সরকারী খাস জায়গার উপর ওই পাটি অফিস নির্মান করা হচ্ছে। এই বিষয়ে অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মুজিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন দলীয়ভাবে আমরা পার্টি অফিস করা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি, ওই জায়গাটি সরকারি এক নাম্বার খতিয়ানের, তাই আমরাও কাজ বন্ধ রাখার কথা বলেছি। জাড়া দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান স্বদেশ পরামানিক বলেন” লিখিত অভিযোগ কেউ করেননি, কিন্তু আমি বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। কাজ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।
তবে জায়গার মালিক যেই হোকনা কেন, তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ঘিরে চরম উত্তেজনা গ্রামে।