চরম দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করে উচ্চমাধ্যমিকে 482 পেয়ে তাক লাগিয়ে দিল বিউটি কর্মকার।

0
526

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছ মহান”….. বিদ্রোহী কবির এই উক্তি বাস্তব জীবনে সত্যি সত্যি প্রমাণ করে দেখালো বাঁকুড়া জেলার জয়পুর লাগোয়া তসরা গ্রামের দুঃস্থ, মেধাবী ছাত্রী বিউটি কর্মকার। সে চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় তাক লাগানো 482 নাম্বার পেয়েছে। যা অনেক আলালের ঘরের দুলাল বা দুলালীরাও পাইনি। বাবা বিশ্বদেব কর্মকার পেশায় দিনমজুর, মা মমতা কর্মকার পরের বাড়ীতে কাজ করেন। বাড়িতে নুন আনতে পান্তা ফুরায়, বাড়িতে সর্বত্র দারিদ্র্যের ছাপ। মেয়ের এই সাফল্যে গোটা পরিবার সহ সব গ্রামের মানুষ খুব খুশি। সকলের নয়নের মণি হয়ে উঠেছে বিউটি। কিন্তু তার পড়াশোনায় বাধ সেধেছে তাদের চরমতম আর্থিক দুরাবস্থা। অসহায় পরিবারের ছাত্রীর কথা জানতে পেরে কেয়ার ইন্ডিয়া বিষ্ণুপুর ওয়েলফার সোসাইটির কর্মকর্তারা বিউটির পাশে থাকার আশ্বাস দেন। কিন্তু আরও সাহায্য, সহযোগিতা চায়। কি ভাবে সে পড়াশোনা চালিয়ে যাবে তা নিয়ে তাদের পরিবারের কপালে দেখা দিয়েছে গভীর চিন্তার ভাঁজ। যদি আরও কোন সহৃদয় ব্যক্তি বা সংস্থা বিউটির প্রতি সহযোগিতা ও সহমর্মিতা দেখান তাহলে বিউটি হয়তো আরও ভালো করে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে… কবির ভাষায় আমাদের আবেদন “মানুষ বড় কাঁদছে তুমি মানুষ হয়ে পাশে দাঁড়াও”। …….”বল কি তোমার ক্ষতি, জীবনের অথৈ নদী /পার হয় তোমাকে ধরে/দুর্বল মানুষ যদি”!