সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – বাসন্তী ব্লকের কাঁঠাল বেড়িয়ে গ্রাম।রবিবার রাতে শ্বশুর বাড়িতেই আমেজ করে ঘুমিয়েছিলেন জামাই বিধান নস্কর। তার ডান কানের মধ্যে আচমকা একটি পোকা ঢুকে পড়ে।যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকে জামাই।আচমকা চিৎকার শুনে বিপদ বুঝে পরিবারের অন্যান্যরা দৌড়ে আসে।এমন ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের সকলে।কানের মধ্যে কিছু একটা ঢুকে পড়েছে জানায় জামাই।একদিকে রাতের অন্ধকারে ঝিরঝিরে বৃষ্টিপাত আর বিদ্যুতের ঝলকানি, কি করবেন ভেবে উঠতে পারছিলেন না শ্বশুর বাড়ির লোকজন। অগত্যা জামাইকে নিয়ে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসার জন্য হাজীর হয় শ্বশুর ধনঞ্জয় পুরকাইত।বিধি বাম,ঘটনার কথা শুনে চিকিৎসক সাফ জানিয়ে দেয় তাঁর পক্ষে এমন জটিল চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। বিপদ বুঝেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে জামাই কে নিয়ে চিকিৎসার জন্য সোজা হাজীর হন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে।মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা জামাই বিধান নস্করের কান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। জানিয়ে দেয় পোকা বেরিয়ে গেছে। ভয়ের কিছুই নেই। যতক্ষণ কানের মধ্যে ছিলো ততক্ষণ উৎপাত করায় কানের মধ্যে সামান্য আঘাত লেগেছে। যার জন্য যন্ত্রণা হচ্ছে। তবে ভয়ের কিছুই নেই।হাঁফ ছেড়ে বাঁচে পুরকাইত পরিবারের সদস্যরা।