বিনম্রতায় তোমার চরণে প্রণাম : গৌতম।

পরমাত্মার পরিধি জুড়ে যে জলনিধির জ্যোতির্ময় বার্তা প্রবহমানের প্রবন্ধ , কী আয়োজনে আজ তোমার অঞ্জলি সাজাই বলো ।

তোমার পুরোটাই যে যুগ যুগান্তরের আকাশ-মাটি আঁকড়ে থাকা নির্বেলার এক ছায়াপথ প্রান্তর।

যে উচ্চারণ তোমাকে চেনার কণিকা ,
সে উচ্চারণ‌ই তো অতলস্পর্শের অনামিকা।

অসীম মহাশূণ্যে তোমার সপ্তর্ষিচুম্বন‌ই চিরায়তের বীজমন্ত্র।

তোমার বৈভবী সীমানা নামমাত্র মাখতে গিয়ে বড্ডরকম ভাবে বারবার নিঃস্ব হয়ে যাই।

এ কোন দিগ্বিজয়ী অগ্নিস্নাত মহাকর্ষ , যার প্রবল টানে বুকের ভেতরটা ঋষিবেলার খোলা মাঠ হয়ে উঠে?

যোগ-বিয়োগের কোনো ধাঁধাই তোমার কাছাকাছি যাওয়ার স্বরলিপি স্পর্শ করতে পারে না।

তোমার এই সমুদ্রঝড় পরিসীমায় আমি চিরকালের‌ ধ্বংসস্তুপে খসে পড়া শুকতারা।

সর্বাঙ্গে নষ্ট মেধার ছাই মেখে আজ তোমার চরণে আহুতি দিলাম আমার শূণ্য পানপাত্র।

এমন সাগরে হারিয়ে যাওয়াও সুখ
হৃদয়ের টানে যার কাছে নতমস্তক।

মহাপ্রয়াণেও চিরভাস্বর তুমি
পূর্ণব্রহ্ম তোমারই গীতাঞ্জলি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *