যাত্রা : গায়ত্রী ভাদুড়ী।

মাথার ওপর দিয়ে প্রসারিত নীলের ছাউনি।
হেঁটে চলেছে রাস্তা ঘরবাড়ি স্বপ্ন,….
মাঝেমধ্যে থামছে কয়েক সেকেন্ড!
একটু হাত দিয়ে সেই সময়েই দেখে নেওয়া
পেলবতায় পড়ছে আঁচড়,নামহীন ক্ষত প্রকোষ্টের অভ্যন্তরে নিয়ে হেঁটে চলেছে সভ্যতা…..
নরম মন একটু একটু করে শক্ত হয়ে উঠছে।
পেরিয়ে যাচ্ছে নদী ঝরনা শহর,
আঁচড়ে পড়েছে শরীরে বেদনার ঝড় অযাচিত আঘাত…..
দু একমুঠো সুখও এসেছে,এসেছে গভীর অসুখ!
বৃত্তাকার পথে কত কী…….
হঠাত হঠাত চোখ বেয়ে জল নামে
কোটরে জন্মায় বিষাদ।
রাত হয় দিন হয়
কোন প্রান্তে ক্ষোভের আগুন জ্বলে
কখোনো ভেঙে পড়ে রোদ ঘাসের বুকে
সভ্যতা ছুঁয়ে দ্যাখে রঙ
বুকে আগলে রাখে প্রেম;
কিছু অপ্রকাশিত ইচ্ছে……
আরশি হয়না দ্যাখা কবেই ভেঙেছে
ভাঙা আরশিতে মুখ দেখতে নেই যে!
তবে এখন একটা চশমার খুব দরকার ….
অকালেই দৃষ্টি হয়েছে ঝাপসা
আনাচ কানাচ যে চোখেই পড়ে না
হোঁচট খেতে হয় মাঝে সাঝেই…..!
এত ভাবার সময় নেই হাতে আর….
ঘুনধরা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নিয়ে কষ্ট হুয় চলতে,
থামলে হবে না,যেতে হবে…গাইতে হবে জয়ের গান শেষ বেলায়…
সভ্যতা চলেছে ক্রমশ অন্তিম কালের টানে….
জন্ম দিতে হবে আবার এক নতুন পৃথিবী! বুকের অভ্যন্তরে,কোনো এক সূর্যস্নাতা ভোরে……।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *