শ্মশানের চৌকাঠ ও দ্বাদশ কৃষ্ণ মন্ডল : নিমাই জানা।

রাতের অসুখের মতো জিওগ্রাফিক বাবা মৃত সাপের ব্রাহ্ম লিপি ছড়িয়ে রাখে ত্রিপত্রক জীবিত মাইট্রোকণ্ড্রিয়ার ভেতর ,

শূণ্য বিভঙ্গ মূর্তির পরকীয়া নারীরা ছোপ ছোপ কালো রঙের শাড়ি পরে দাঁড়িয়ে আছে নিমতলা খেয়া ঘাটের শতানীক বাকল খুলে
নিজের বৃহদন্ত্র থেকে উদগীরণ রক্ত আর কর্কট থ্রম্বাসের অ্যালকোহলিক অ্যাড্রিনালিন মিশিয়ে খায় মন্টু পুরোহিত , এই জনারণ্যে এসে নোনা মাধবচক কখনো প্লাজমাহীন হয়ে যায় হ্লাদিনীর অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে
দেহের ভেতর গর্গ মুনি একাই অবলীলায় শাপগ্রস্ত করেন মৌন মানুষদের , স্বপরাগী জলের ভেতর ঊর্বশী ছায়াগুলো দশমিক সংখ্যা পরে অর্জুনের সাথে দ্বৈরথে নেমে যায় বজ্রকীট পোশাক
আমার প্রতিটি মৃত্যুদিন , জন্মদিনের পাঁজরের সাথে কৃষ্ণ গহবর সৃষ্টি করে দাঁড়িয়ে আছে অলৌকিক নারীর মতো
আমি ইচ্ছামতী ঈশ্বরীর জন্য সহজ সরল বানপ্রস্থ শিখেছি

প্রগাঢ় রাতের অন্তেষ্টি বিষয়ক কষ্ট কথাগুলো চুল্লির ভেতর ঢুকিয়ে উৎসর্গ করি ঈশ্বরের কাছে , ঈশ্বর এনামেল কাগজের ঠোঁটে নিঝুম শীতকাল হয়ে নেমে আসে ভাঙ্গা তরোয়ালের রক্ত ক্ষয় বৃত্তীয় মানের উপর
একটি সেবিকার জারুল পোষাক আসলে মেডিকেটেড পুরুষ মানুষের ক্ষত মুখের আগুন , যাদের ভেতরে অজস্র পিশাচ বিন্দুগুলি তুলসীপত্রক দিয়ে ঢেকে আছে অমাবস্যা রাতের পাঞ্চাল সরীসৃপ হয়ে
আমি তাদের পিঠে লাল ফুসফুসের গতিশক্তির গাণিতিক রূপকে
বেঁধে রাখি আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল দিয়ে , একটি পুরুষকে হত্যা করতে ১৩ সেকেন্ড লেগেছিল মাত্র

তিনটি লাল জরুলের উপর থাকা ২২৫ টি নরককুণ্ড ছুঁয়ে আসছে কম্পাঙ্কহীন হিমোগ্লোবিন সাপ , তরোয়াল কখনোই সাদা ফুলের চাষ করে না শূণ্য মেটাফেজ বাগানের ভেতর
শুধু ,কৃষ্ণমূর্তির নাভির উপর অঙ্গানুরা একা একা খেলে বেরিয়েছে ছদ্মবেশী জ্যোতির্ময় হয়ে
ঈশ্বর ঘুরে ঘুরে দেখছেন প্রতিটি পবিত্র ইলিউশন স্যাক , একটি জ্যামিতিক তরল ঢেলে দেওয়ার পর সকলেই মঞ্জিরাকে নৌকা ভেবে নেমে পড়েছেন অকুল সাগরের দিকে,
সার্ভিক্সের তলদেশে অজস্র পিরামিড কালো আঙ্গুর দানার মতো ঝুলে আছে জীবিত ফল দোকানের পিচ্ছিল সরোবরের তীরে
শ্রুতকর্মার মুখে কোন যুদ্ধ বিষয়ক আগুন জ্বলেনি কখনো জটিল গর্ভ থেকে বেরিয়ে আসার পর ধৃতরাষ্ট্র এসব কথা পড়ে ফেলছেন জায়মান রসায়ন দিয়ে
তিনি নিজে মৃত ঘোড়াকে চালানোর মন্ত্রশক্তি জানতেন না

এককোষী রাত্রী বলে কিছু নেই, শুধু পরকীয়া জ্বর আর নব্য প্রস্তর ভাণ্ডীর উপবনে জগৎপতি খেলে বেড়াচ্ছেন নাটোর শ্রীরাধিকার সাথে ,
স্বর্গীয় চুম্বনে কখনো বিষাক্ত আর্সেনিক মাখানো থাকেনা বলেই সকলেই ঋণাত্মক শারীরিক ফিজিওলজি এঁকে রাখেন নাইট্রেট দ্রবণের নিচে
সনজিৎ নামক হলুদ নাবিকটি একা একাই খড়ি মাটি দিয়ে স্বরবর্ণের অরকেরিয়া চারাগাছ তৈরি করেছেন নিজের অবতল অসুখগুলো দিয়ে , গণিতের শিখন সামর্থ্য শিখে ফেলছেন সাত প্রজন্মের পর
মৃত্যুর পরেও একটি g0 দশা আছে শ্মশানের চৌকাঠের মতো বান্ধবহীন
আরও একবার আত্মহত্যা ঘর থেকে ফিরে আসে প্রতিবন্ধী মানুষের যানবাহন

আমি সুদীপ মান্না নামে এক মৃতপ্রায় গাছের শিকড়ে বিবিধ জৈবনিক পুঁতে রাখি অক্সিন দিয়ে , তলপেট থেকে বেরানো সাপেরা অযুত যজ্ঞের শাঁখ বাজাতে বাজাতেই পরীক্ষিত হয়ে গেছেন , বৈবর্ত পুরাণ থেকে বেরিয়ে আসছেন লাভাময় পাথর আমি বাল্মীকির মতো ত্রিকোণমিতিকে কখনোই বিশ্বাস করিনি, আমার শরীরের সপ্তম কপাটিকাকে তৃতীয় নারীর শিরদাঁড়ার পিঠে বসিয়েছে ফেরোমেন দিয়ে ঢেকে , সঙ্গমের পর আমি আরো একবার পরিচ্ছদহীন হয়ে চাঁদের কঙ্কাল ছায়ার নিচে দাঁড়াই উপনদীর ফলিকেল স্টিমুলাতিং ফেলে
প্রাচীন ধনুকের ব্যাসার্ধ বরাবর অর্জুন এসে বসেন রাধামাধবের কপিধ্বজ রথের নিচে , হলুদ গামছাটি পছন্দ ছিল কানাই সারথীর , যুদ্ধক্ষেত্রের কাল্পনিক ত্রিশূল মাথার নরম দেহ গুলোই আসলে ত্রিতাপ দুঃখ কথার গেডিওলাস রং

বিনাশশীল সিগমা পাহাড়ের পরজীবীরা আঠালো নগরীর দিকে চলে যাওয়ার পর জড়িয়ে ধরেছি আমার বাবার প্রাচীন বাম পা
বাবা মধ্যরাতে উঠে মৃত্যু , আত্মহত্যা আর সন্তান বিষয়ক
তিন বিন্দুকে সমরৈখিক করার জন্য একটি ধারালো কাঁটা কম্পাস নিয়ে আসেন
মেটাপ্রোলল নামক মৃত জিরাফের ডান লিঙ্গের উপর মৃত মায়ের উলম্ব নাভি গীত ধনাত্মক গেয়ে ওঠে অনুর্বর আরশিনগর হয়ে

শূন্যস্থানের মার্কোপোলো একাই ননকিউরেবল ১৪ টি পালকের ভেতর দ্বাদশ সখা মন্ডলের চাষ করেছেন কৃষ্ণের মতো ভুজঙ্গম শরীর নিয়ে
বানপ্রস্থ পোশাকটি ফিনিশীয় লিপির মতো উদ্বায়ী জলে ডোবানো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *