রাতের অন্ধকারে মহিলা শৌচালয় উধাও,প্রশাসন অন্ধকারে।

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – জনসাধারনের ব্যবহারের জন্য সরকারী অর্থে পঞ্চায়েতের তৈরী মহিলা শৌচালয় রাতের অন্ধকারে কে বা কারা ভেঙে চুরমার করে উধাও করে দিলো। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।রাতের অন্ধকারে কে বা কারা ,কেন এমন কাজ করলো এবং ঊদ্দেশ্য বা কি সেবিষয়ে সাধারণ মানুজন সহ প্রশাসন অন্ধকারে।
ক্যানিং থানার অন্তর্গত গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্ত হেড়োভাঙ্গা বাজার। এই বাজারে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন গ্রামের লোকজন বাজার-হাট করতে আসেন।আবার সপ্তাহের বুধ ও শনিবার বিশেষ হাট বসে।বাজার সংলগ্ন এলাকায় পানীয় জলের কল এবং কোন শৌচালয় না থাকার কারনে প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়তে এঢ়াকার মানুষজন সহ হাট-বাজার করতে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা। শৌচালয়ের জন্য পার্শ্ববর্তী খোলা মাঠ ব্যবহার করতেন তারা।এমনটা নজরে পড়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সদসের।তৎকালীন ১৯৮৯ সালে সিপিএম পরিচালিত গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আনন্দ মন্ডল ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জাতীয় কংগ্রেসের অরবিন্দ মহান্তী বাজারের আসা মানুষজন সহ এলাকার মানুষের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য সরকারী অর্থে হেড়োভাঙ্গা বাজারের বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় একটি নলকূপ ও শৌচালয় তৈরী করেন।শৌচালয় টি পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক করা হয়েছিল। বিগত দিনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে একাধিকবার শৌচালয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তা পঞ্চায়েতের উদ্যোগে সংস্কার করা হয়।
গত ৮ এপ্রিল রাতের অন্ধকারে মহিলা শৌচালয় টি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।স্থানীয় মানুষজন ঘটনার বিষয়ে ইতিমধ্যে ক্যানিং থানায় মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছে।কে বা কারা এমন কাজ করলো সে বিষয়ে স্থানীয়দের মৌখিক অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসে ক্যানিং থানার পুলিশ। পাশাপাশি সরকারী অর্থ ব্যয়ে জনসাধারণে ব্যবহারের জন্য পঞ্চায়েতের তৈরী শৌচালয় কে বা কারা কেন ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলো সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করে করেছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *