মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী নিজের প্রশাসন চালানোর ব্যার্থ্যতার দায় অন্যদের ঘাড়ে চাপানোয় সিদ্ধহস্ত : সুকান্ত মজুমদার।

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রেস ক্লাবের বর্ষবরন অনুষ্ঠানে কেন্দ্রী প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার যোগ দিতে এসে দিল্লি ফিরে যাবার সময় সাংবাদিকতার প্রশ্নে উত্তরে জানান, যে জেলা শাসকরা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া বাথরুমে পর্যন্ত যেতে পারে না, তারা কেন্দ্রের হয়ে জংগী ঢোকাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী কি এসব কথা বলে ফাজলামো পেয়েছেন।এটা সবাই জানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী নিজের প্রশাসন চালানোর ব্যার্থ্যতার দায় অন্যদের ঘাড়ে চাপানোয় সিদ্ধহস্ত। তাই এসব কথা বলে জংগী অনুপ্রবেশ নিয়ে দায় এড়াচ্ছেন। আজ বালুরঘাটে জংগী অনুপ্রবেশ নিয়ে মমতা ব্যানার্জীর মন্তব্য নিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার একথা বলেন। তিনি তৃনমুল নেত্রীর৷ বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ জানিয়ে বলেন কখনও আপনারা কেউ শুনেছেন জংগীরা মমতা ব্যানার্জী বা অভিষেক ব্যানার্জীকে হুমকি দিয়েছে, বরং জংগীদের হুমকীর মুখে পড়তে হয় বিজেপি করা লোকজনদের।রাজ্য বিজেপির সভাপতি পালটা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, আমি বলছি মমতা ব্যানার্জীর হয়ে বরং জংগীরা এখানে ভোট করায়।অপরদিকে বাংলাদেশের এই টালমাটাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিরব কেন অভিষেকের করা এই মন্তব্য নিয়ে সুকান্ত বলেন, বাংলাদেশ তো দুরের কথা আগে অভিষেক বাবুর নিজের রাজ্যের চোপড়ার কথা ভেবে দেখুক, যেখানে মুসলিমরা হিন্দু মহিলাদের মারধোর করছে, এমনকি তার নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারে মুসলিম গুন্ডাদের দিয়ে রাজত্ব কায়েম করে রেখেছেন, সেখানে হিন্দুরা গরিষ্ট তবু হিন্দুদের উপর অত্যাচার করছে তার মুসলিম গুন্ডারা। এরপরেই তিনি অভিষেককে আক্রমন করে বলেন উনি এসব বলে কুমিরের কান্না কাদছেন।

অন্যদিকে মালদায় তৃনমুল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনার দায় অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রীর বলেও এদিন সুকান্ত মজুমদার দাবি করে বলেন যে নিজের দলের শাসন কালে নিজের দলের একজন কর্মীকে খুন হতে হয়, সেই ঘটনার দায় মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী কখনই এড়িয়ে যেতে পারেন না। সুকান্তর আরও অভিযোগ তার কাছে খবর আসছে মালদায় আরও অস্ত্র ঢুকছে, প্রশাসন যদি সজাগ না হয় তবে শেষে না একটা বড় কিছু না ঘটে যায়।তিনি আরও বলেন মুখ্যমন্ত্রী পক্ষান্তরে জেলা শাসকদের সীমান্তের দিকে নজর না দেওয়ার কথা বলে অনুপ্রবেশকেই উৎসাহ দিয়ে গেলেন বলে মন্তব্য করেন।

এর পাশাপাশি আজ নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে প্রাথমিকে সেমিস্টার চালু করা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ভৎসন্যা করা নিয়ে বলেন, এটা একটা রাজ্যে সার্কাস চলছে, তা ছাড়া একজন মন্ত্রী ক্যাবিনেটে না জানিয়ে কখনও একাই সিদ্ধান্ত কখনও নিতে পারে, তা কখনই হতে পারে না। হিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে তুঘলিনবিন সরকারে রয়েছেন কি ভাবে, তা ভেবে পাইনা, উনার লজ্জা থাকলে এরপরে চুপচাপ ক্ষমতায় বসে না থেকে পদত্যাগ করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *