মঙ্গলবার মকর সংক্রান্তির দিন লালগড়ের নেতাই গ্রামে গিয়ে শহীদ পরিবার গুলির সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

পঃ মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- মঙ্গলবার মকর সংক্রান্তির দিন লালগড়ের নেতাই গ্রামে গিয়ে শহীদ পরিবার গুলির সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রশাসনের অনুমতি না মেলায় ৭ জানুয়ারি নেতাই শহীদ দিবসে তিনি আসতে পারেননি। মঙ্গলবার বেলা চারটা নাগাদ নেতাই পৌঁছাতেই জনতার ঢল নামে। গ্রামবাসীদের নিয়ে শহীদ বেদীতে মাল্য দান করেন। সেখানে নেতাই গণহত্যাকাণ্ডের আহত ২৮ এবং নিহত ৬ জনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। ৭ জানুয়ারি নেতাই দিবসের দিন তাকে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানানোর অনুমতি না দেওয়ায় পুলিশের তীব্র সমালোচনা করেন।
নেতাই দিবসের দিন তৃণমূল সেখানে অনুষ্ঠান করেছিল। সেই অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের লোকজন অনেকেই যাননি। তৃণমূলের ছত্রধর মাহাতো এবং জয়পকাশ মজুমদার সভায় বক্তব্য রেখেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী তাদের সমালোচনা করে বলেন, গণহত্যা কাণ্ডের সময় আক্রান্ত পরিবার গুলির পাশে যখন দাঁড়ানোর খুব প্রয়োজন ছিল তখন কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। জনতার ভিড় ঠেলে এদিন শুভেন্দু অধিকারীর কাছে বেশ কিছু মহিলা সরকারি বাড়ি এবং পানীয় জলের নলকূপ দাবি করেন। শুভেন্দু অধিকারী তাদের বলেন, তিনি তো সরকারি বাড়ি দিতে পারেন না। এগুলো পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সরকার করে থাকে। তবে
গ্রামবাসীদের দাবি মতো গ্রামে পানীয় জলের একটি গভীর নলকূপ বসানোর আশ্বাস দেন শুভেন্দু।
সভামঞ্চে প্রতি বছরের মতো এবারও আহত ও নিহতদের পরিবারগুলির হাতে সাম্মানিক তুলে দেন তিনি।
এরপর সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে
মালদায় তৃণমূল নেতা খুন প্রসঙ্গে
পুলিশকে দোষারোপ করে শুভেন্দু বলেন, এলাকাতেই দুষ্কৃতকারীরা ছিলো। তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার জন্যপুলিশ ও পুলিশ মন্ত্র দায়ী। শাসক দলের নেতাদের মদতেই তাদের নেতারা খুন হয়ে যাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *