চিকিৎসক মাত্র দুইজন, পরিকাঠামোর অভাব, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের পরিষেবা নেই, সমস্যায় রোগী ও তাঁদের পরিজন।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- চিকিৎসক মাত্র দুইজন। পরিকাঠামোর অভাব। সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের পরিষেবা নেই। সমস্যায় রোগী ও তাঁদের পরিজন। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের কুশিদা‌ উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র শনিবার পরিদর্শনে এলেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বহির্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগ পরিদর্শন করে শিঘ্রই পরিকাঠামো উন্নয়ন ও ভালো চিকিৎসা পরিষেবার আশ্বাস দিলেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ী। উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর গ্ৰামীণ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত বিএমওএইচ ছোটন মন্ডল ও জেলা পরিষদের কৃষি সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,‌ ১৯৫২ সালে কুশিদার জমিদার রামকৃষ্ণ সরকারের দানকৃত ৬ বিঘা জমির উপর গড়ে উঠে কুশিদা স্বাস্থ্য কেন্দ্র। পরবর্তীতে আরও ৪ বিঘা জমি দান করেন তাঁর প্রজন্মরা। ২০১৫ সালে কুশিদা উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র ভবনের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কুশিদা অঞ্চলের অসংখ্য মানুষ বহির্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। ১০ শয্যা বিশিষ্ট উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দুইজন চিকিৎসক,পাঁচ জন নার্স, একজন স্থায়ী ও তিনজন অস্থায়ী সাফাই কর্মী ও চারজন স্থায়ী জিডিএ(GDA) রয়েছে। উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পর্যাপ্ত চিকিৎসকের অভাব রয়েছে, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের কোনও পরিষেবা নেই।‌ আন্তঃবিভাগে পুরুষ ও মহিলা আলাদা ওয়ার্ড নেই, পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই, শৌচালয় বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে, চিকিৎসক ও নার্সদের থাকার কোয়ার্টারের ভগ্নদসা প্রভৃতি পরিকাঠামোগত সমস্যা নিয়ে অভিযোগ তুলে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের হাতে দাবিপত্র তুলে দেন স্থানীয়রা। এমনকি সঠিক পরিষেবা মিলছে না বলে জানান তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দা সোমনাথ মিত্র বলেন,এই হাসপাতাল একসময়ে ছিল স্বাস্থ্যকেন্দ্র। পরে ২০১৫ সালে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসাবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তারপরেও পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। সিজারের কোনও ব্যবস্থা নেই।
এলাকার ৩০ টি গ্রামের মানুষের এই উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল। জেলা পরিষদের কৃষি সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম বলেন,এলাকার মানুষ কুশিদা ও বরুই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামো সহ একাধিক সমস্যার কথা আমাকে জানিয়েছিলেন। আমি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছিলাম। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ী বলেন, কুশিদা উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও বরুই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নানান পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনে সমস্যার কথা জানানো হবে। ধীরে ধীরে পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হবে এবং ভালো চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা করা হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *