সৈকত নগরী দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের ঠিক আগেই বিক্ষোভে নামলো ঠিকাদারেরা।

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সৈকত নগরী দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের ঠিক আগেই বিক্ষোভে নামলো ঠিকাদারেরা। কাজ করে দীর্ঘদিন ধরে মেলেনি কাজের বকেয়া টাকা। ক্ষোভ উগরে দিলো জেলার ঠিকাদারেরা। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে এলে বিক্ষোভ দেখানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঠিকাদারদের একাংশ। এদিন দিঘায় সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানিয়েছেন ঠিকাদারেরা। জেলা পরিষদের কাজের ঠিকাদার শেখ মুক্তাজল জানিয়েছেন, আমরা কিছু কনট্রাকটাররা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করি তার প্রমাণও আমাদের কাছে আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের বক্তব্য কেউ শুনছে না, বিডিও শুনছে না, কিছু কিছু হাই ৱ্যাঙ্কের অফিসার আমাদের বক্তব্য শুনছেন না। ফলে আমরা ভেবে রেখেছি দিদি যেদিনে জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন করতে আসবেন ঠিক সেই দিন আমরা সবাই রাস্তায় বসবো। পথশ্রীতে আমরা অনেকদিন আগে কাজ করেছি আমরা এই মুহূর্তে পেমেন্ট পাচ্ছি না। কিছুও কন্ট্রাক্টার আছে অফিসের পোষা যারা, তাদের টাকা চলে আসছে কি করে! আর আমাদের পেমেন্টের সময় যত অজুহাত দেখাচ্ছে অফিসাররা। তাহলে আমাদের অপরাধটা কি, আমরা বলব কাকে? তিনি আরও জানিয়েছেন,
গৌতম পাত্র নামের কলকাতার আমি এক জায়গায় টেন্ডার নিয়েছিলাম এবং সেও নিয়েছিল, আমার ডকুমেন্টস ঠিকঠাক ছিল, আর সে যে কাগজ গুলো জমা দিয়েছিল তাতে আটটা ভুল ছিল, কোনমতেই সে টেন্ডার পেতে পারেনা, কিছু অফিসাররা তাকে কাজটা পাইয়ে দিয়েছে। আমরা এখানে বলতে চাই তার এত ভুল থাকা সত্ত্বেও কেন সে কাজটা পেল। কলকাতার লোক এসে ভুল কাগজ দিয়ে জাল কাগজ দিয়ে কাজ পাচ্ছে আর আমরা সঠিক কাগজ দিয়েও কাজটা ধরতে পারছি না কেন? আমরা করবোটা কি , আমরা দিদির দল করি দিদিকে ভালোবাসি দিদি এখানে আসুন, আমাদের বক্তব্য এখানে কাউকে বলতে পারছি না এখানে সোনার কেউ নেই, ফলে আমরা স্থির করেছি আগামী ২৯ এপ্রিল সকাল থেকে আমরা রাস্তায় বসে থাকবো। যতক্ষণ না দিদি, এর সমাধান গুলো করছেন।
বিডিওকে বললে সে বলে ডিএম ছাড়েনি, ডিএমকে বললে সে বলবে টাকা আসেনি, তাছাড়া আমরা ডি এম, বিডিওকে বলতে যাব কেন? আমরা দিদিকে ভালোবাসি ফলে এই সমস্যাটা আমরা দিদির কাছেই তুলে ধরবো। সমস্যার সমাধান না হলে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবো বলে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন স্থানীয় ঠিকাদারেরা। কিন্তু সমস্যার সমাধান না হলে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ঠিকাদারেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *